খেজুরের ঝোলা গুড়, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাবার। এর স্বাদ মিষ্টি, ঘন এবং সুগন্ধি। এই গুড় খেজুরের রসকে ফোটানোর মাধ্যমে তৈরি করা হয় এবং এর রঙ লালচে বাদামি থেকে গাঢ় বাদামি হতে হয়।
খেজুরের ঝোলা গুড় দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন প্রকার পিঠা যেমন: পুলি পিঠা,ভাপা পিঠা ইত্যাদি।
খেজুরের ঝোলা গুড়ের উপকারিতা:
পুষ্টিগুণ: খেজুরের ঝোলা গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি জাতীয় উপাদান পাওয়া যায়।
শক্তি বাড়ায়: গুড়ে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়।
হজম শক্তি বাড়ায়: খেজুরের গুড় হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: গুড়ে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: গুড় ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী কারণ এতে অ্যান্টি-এজিং উপাদান থাকে।
হাড় মজবুত করে: গুড়ে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে।
খেজুরের ঝোলা গুড়ের ব্যবহার:
প্রাতঃরাশ: দুধের সাথে মিশিয়ে বা পুডিং এর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মিষ্টি: বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
খাবারের স্বাদ বাড়াতে: বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুড় খাওয়া সীমিত পরিমাণে করা উচিত।
খেজুরের ঝোলা গুড় একটি পুষ্টিকর এবং স্বাদিষ্ট খাবার। তবে, স্বাস্থ্য সচেতন থাকার জন্য মাত্রাতিরিক্ত গুড় খাওয়া উচিত নয়।